পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাসবিহ ও মুনাজাত

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। প্রো বিডি নিউজ ২৪-এ আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাসবিহ ও মুনাজাত
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাসবিহ ও মুনাজাত

নামাজ আমাদের প্রধান ইবাদতগুলির মধ্যে একটি। নামাজ বেহেশতের চাবি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ হচ্ছে একটি। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নামাজকে আমাদের প্রত্যেকের জন্য ফরজ করেছেন। কেউ যদি নামাজ না পড়ে তাহলে সে গুনাহগার হবে। আর প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর কতগুলো তাসবিহ রয়েছে যা আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিজেও পাঠ করতেন এবং আমাদেরও পাঠ করতে আদেশ করেছেন।
আজকে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাসবিহ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর মুনাজাত নিয়ে আলোচনা করবো।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর কোন কোন তাসবিহ কতবার পড়তে হয়

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর অনেকে অনেক ধরনের তাসবিহ পাঠ করে থাকেন। তবে বিশেষ কিছু তাসবিহ আছে যার উপর আমল করতে নবী কারিম (সাঃ) বলেছেন এবং তিনি নিজেও আমল করতেন। নিচে সেগুলো বর্ণ্না করা হলো-

৩ তাসবিহ পাঠ করা

আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিজেও তিন তাসবিহ পাঠ করতেন এবং আমাদেরও পাঠ করতে আদেশ করেছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে, আল্লাহ তার সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন, যদিও গোনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।’(সহিহ মুসলিম)। 

৩ তাসবিহ কি কি

১। ৩৩-বার সুবহানাল্লাহ
২। ৩৩-বার আলহামদুলিল্লাহ 
৩। ৩৪-বার আল্লাহু আকবার 

আয়াতুল কুরসি পাঠ

আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে একবার আয়তুল কুরসি পাঠ করতে বলেছেন। আয়াতুল কুরসি পাঠ করার অনেক ফজিলত রয়েছে। কোনো ব্যক্তি ঘুমাবার পুর্বে আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমালে, যতক্ষণ সে নিদ্রায় থাকবে ততক্ষন তাহার জান ও মাল ফেরেশতাগণ হেফাজত করবেন। তাছাড়া-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ব্যাতীত আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (বুখারি, নাসাঈ, তাবারানি)

আরও দেখুনঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাসবিহ

১। ফজরের নামাজের তাসবিহ


বাংলায়ঃ (হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম)- ১০০ বার পাঠ করবেন।

অর্থঃ তিনি চির জীবিত ও চিরস্থায়ী।

২। জোহরের নামাজের তাসবিহ


বাংলায়ঃ (হুয়াল আলিইয়্যাল আজীম)- ১০০ বার পাঠ করবেন।

অর্থঃ তিনি শ্রেষ্ঠতর অতি মহান।

৩। আছরের নামাজের তাসবিহ


বাংলায়ঃ (হুয়ার রাহমানুর রাহীম)- ১০০ বার পাঠ করবেন।

অর্থঃ তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।

৪।মাগরিবের নামাজের পর তাসবিহ


বাংলায়ঃ(হুয়াল গাফুরুর রাহীম)- ১০০ বার পাঠ করিবেন।

অর্থঃ তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।

৫। এশার নামাজের পর তাসবিহ


বাংলায়ঃ (হুয়াল লাতিফুল খাবীর)- ১০০ বার পাঠ করিবেন।

অর্থঃ তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর মুনাজাত

বাংলা উচ্চারণ : ''রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসনাতাঁও ওয়া ফিল-আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া কিনা আযাবান্নার। ওয়া ছাল্লাল্লাহু তাআলা আলা খাইরি খালকিহী মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আছহাবিহী আজমাইন। বি-রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমীন।'' (সূরা বাকারা-২০১)

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত এই দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়। আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়াটি বেশি করতেন।
 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রো-বিডি নিউজ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url