পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান- পরিবার পরিকল্পনা কি,কেন

পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞানঃ

বাংলাদেশ একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে জনসংখ্যার হার বেড়েই চলেছে। আর এর প্রধান কারন হচ্ছে নিরক্ষরতা। এ দেশের অধিকাংশ মানুষই নিরক্ষর এবং তারা জানে না যে কিভাবে একটি সুস্থ, সুন্দর পরিবার গঠন করা লাগে। এবং পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে না জানার কারনে তারা একের অধিক সন্তান নিচ্ছে। যা জনসংখ্যা বাড়ার মুখ্য কারণ। আর এই বাড়তি জনসংখ্যা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষকে অবগত করার জন্যই বাংলাদেশ সরকার পরিবার পরিকল্পনা সংস্থা চালু করেছে। এখানে মানুষ কিভাবে একটি সুন্দর, সুস্থ পরিবার গঠন করতে পারবে তার সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারনা পায়।
পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান

আজকে আমরা এই পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনাদের যত ধরনের প্রশ্ন রয়েছে যেমনঃ 
পরিবার পরিকল্পনা কি,পরিবার পরিকল্পনা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়,পরিবার পরিকল্পনার মূল কথা কি ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রথমে জানা যাক-

পরিবার পরিকল্পনা কেন?

১। স্বামী-স্ত্রী তাদের পছন্দমতো সময়ে এবং সীমিত সংখ্যায় সন্তান নিতে সাহায্য করে।
২। শিশু ও মায়ের জীবনের ঝুকি কমায়।
৩। ঘন ঘন গর্ভধারণ সংক্রান্ত জটিলতা হ্রাস করে।
৪। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বাড়ায়।
৫। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার শারীরিক,মানসিক ও আর্থিক চাপ কমায়।
৬। পরিবারের সকলের খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।

পরিবার পরিকল্পনা কি। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি কি

পরিবারের সকলের জন্য ভালো স্বাস্থ্য, পরিবারের সবার মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন একটি সুন্দর ছোট পরিবার। এতে করে আমরা আমাদের পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে পারব। আর পরিবার ছোট রাখার জন্য প্রয়োজন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির। পরিবার পরিকল্পনা হচ্ছে জন্ম প্রতিরোধ মূলক পদ্ধতি যা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভসঞ্চার এড়াতে সাহায্য করে।

পরিবার পরিকল্পনা কত প্রকার ও কি কি

পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি মুলত দুই প্রকার যথাঃ অস্থায়ী পদ্ধতি ও স্থায়ী পদ্ধতি।পরিবার পরিকল্পনা এই দুটি পদ্ধতির মধ্যেও কিছু ভাগ রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী পদ্ধতি

১। পুরুষদের জন্য এনএসডি
২। মহিলাদের জন্য লাইগেশন

পরিবার পরিকল্পনা অস্থায়ী পদ্ধতি

১। খাবার বড়ি, কনডম ও ইনজেকশন- স্বল্পমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি।
২। ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি (কপার-টি)- দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি।
৩। ল্যাম(ল্যাকটেশনাল এম্নোরিয়া) বা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো পদ্ধতি।

পরিবার পরিকল্পনা ভাইভা প্রশ্ন

পরিবার পরিকল্পনা দিবস কত তারিখ

উত্তরঃ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার পরিকল্পনা দিবস।

পরিবার পরিকল্পনা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়

উত্তরঃ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকার প্রথম বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানে পরিবার পরিকল্পনা শুরু করে।

পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রীর নাম কি

উত্তরঃ পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রীর নাম জাহিদ মালেক স্বপন।

পরিবার পরিকল্পনা স্লোগান কোনটি

উত্তরঃদুইটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়।

পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে শেষ কথাঃ
আশা করি, এখন আপনারা পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সব জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেল থেকে আমরা এটি বুঝতে পারলাম যে, আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে এবং সুন্দর পরিবার গঠনের জন্য পরিবার পরিকল্পনার সাহায্য নেয়া উচিত। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাসের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রো-বিডি নিউজ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url